পৃথিবী-প্রেমে মগ্ন কৈশোর

কৈশোর (মার্চ ২০১৪)

নেমেসিস
  • ১১
  • ৪৫
এঁকে,পুতুল খেলে ও গল্পের বই পড়ে।‘শাসন’ শব্দটির সঙ্গে পরিচয় ছিল না বলে অবাধ্য হওয়া হয়ে ওঠেনি। পরিবারের সকলের ভালোবাসায় গড়ে উঠেছে স্বাধীনচেতা ব্যক্তি-মানস । একই সঙ্গে প্রকৃতির প্রতি সুনিবিড় বন্ধন।

যাদের জ্যোৎস্না রাত পছন্দ তাদের দুঃখ দেওয়ার জন্য বলছি না। জ্যোৎস্না রাতের চেয়েও তারাভরা রাতের প্রতি আমার আকর্ষ ফুলের সৌরভ,পাখির কূজন ও প্রজাপতির ভিড়ে রঙিন শৈশব পেরিয়ে -কৈশোর কেটেছে পাঠ্য বইয়ে ছবির ণ বেশি। ছোটবেলায় রাতের আকাশে মায়ের সঙ্গে উঠোনে, না হয় বারান্দায় শুয়ে শুয়ে তারাভরা আকাশের বিশালতা দেখে মনটা কেমন করত! আবার ভাইয়া-আপুদের সহচার্যে চিনেছি কালপুরুষ, সপ্তর্ষিমণ্ডল ও ছায়াপথ। মাঝে মধ্যে অনেক তারা একসঙ্গে দেখলে নানান রকমের জীবজন্তুর আকৃতির সঙ্গে মিলে যেত। এই বুঝি একটি হাতি! কখনোবা কয়েকটি হরিণ ছুটে পালাল!আরও কত কী। আবার দিনের আকাশে রাশি রাশি তুলোর মতো সাদা মেঘ ভেসে বেড়াত। দিগন্ত ছোঁয়া কালো মেঘমালাকে আজও মনে হয় দূরের পাহাড়। আর এখন প্রায়ই ভাবি মহাবিশ্বের বিশালতার কাছে আমরা কত ক্ষুদ্র।

স্কুলের পাঠ্য বিষয়ের মাঝে ‘সাধারণ বিজ্ঞান’ এবং ‘ভূগোল’-এর প্রতি ছিল বেশি আগ্রহ। ফলে এসব বইয়ের ছোটখাটো পরীক্ষাগুলো প্রায় সময়ই বাড়িতে করে দেখতাম। এভাবে চিরুনি ও কাগজের টুকরা দিয়ে স্থিরবিদ্যুৎ পরীক্ষা করেছি; মোমবাতি ও ভূগোলের সাহায্যে দিন-রাত কীভাবে হয় দেখেছি; চুনের পানিতে সিগারেটের প্যাকেটের ভেতরের কাগজ ডুবিয়ে রোদে রেখে গ্যাস বেলুন বানিয়েছি। শুধু কী তাই, থার্মোমিটার ভেঙে পারদ বের করতে গিয়ে আম্মার বকাও খেয়েছি। এর চেয়েও কিছুটা বড় কাজ করেছিলাম ভাগ্নে-ভাগ্নিদের সঙ্গে নিয়ে । অয়েল পেপারে নানান রং দিয়ে ছবি এঁকেÑ পেছনে লাইট এবং সামনে পর্দা দিয়ে সিনেমা বানিয়েছিলাম; যা অনেকটা বর্তমান সময়ের প্রোজেক্টরের মতো। গাড়ি ও স্পিডবোট বানানোরও চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পুরোপুরি সফল হইনি।

কৈশোর থেকেই প্রেমে পড়েছি আমাদের নীল গ্রহ পৃথিবীর। তখন একটি ইংরেজি ছবি দেখেছিলাম, নাম অ্যাপোলো-১১। সে ছবির একটি দৃশ্য আমাকে এক অজানা আনন্দে ভরিয়ে তোলে। দৃশ্যটি ছিল এক রকম: নভোচারীদের একজন চাঁদে নামলÑ নেমেই তাকাল পৃথিবীর দিকে । তার কোন সংলাপ ছিল না। কিন্তু অভিব্যক্তিটা ছিল এমন, সব কথা মুখে বলবার প্রয়োজন হয় না। দূর থেকে পৃথিবীকে দেখে যে অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে তার সঙ্গে আমিও একাত্মতা অনুভব করেছি, যা আমাকে আজও নাড়া দেয় । চাঁদে অভিযানের মতো অভাবনীয় কাজের পরও মনে হয় পৃথিবীর মহত্ত্ব অনেক বড়। আর একই রকম চেতনা থেকেই হয়তো জীবনানন্দ দাশ লিখেছেনÑ
আবার আসিব ফিরে, ধানসিঁড়িটির তীরে
এই বাংলায়-
আমি এখনও ভালোবাসি দেশের পতাকা-মানচিত্র-প্রকৃতি-গান। আর ভালোবাসি কৈশোরে প্রেমে-পড়া পৃথিবীকে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক কিশোর বয়সের একটি শক্ত পোক্ত সাবলীল ভাবনে...খুব ভালো লাগলো....
মোঃ আক্তারুজ্জামান ভাল লাগল কৈশোরে পৃথিবীর প্রেমে পড়ার গল্প। ধন্যবাদ।
সকাল রয় লেখা ভালো তবে বুঝতে পারলাম না গল্প কিনা
মোঃ মহিউদ্দীন সান্‌তু বেশ সুন্দর সহজ সরল ভাবে স্মৃতির পাতা গুলো উলটিয়ে হাত বুলিয়ে গেলেন, খুব ভালো লাগলো লেখাটি।
দীপঙ্কর বেরা সহজ সরল করে লেখা । ভাল লাগল ।
নাজমুছ - ছায়াদাত ( সবুজ ) সরল ভাষায় সুন্দর প্রকাশ । ভালই লাগলো । আরও ভাল লেখা আশা করছি ।
পরামর্শটি কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন সহজ সরল কিন্তু সুন্দর একটা লেখা। আপনারমত আমাদের সবারই উচিত দেশকে ভালবাসা। হয়তো বাসিও কিন্তু কীভাবে বাসতে হয় সেটাই বোধহয় জানিনা। শুভেচ্ছা রইল।
আমরা আসলে সবাই দেশকে ভালোবাসি। কেবল প্রকাশটা একেক রকম।
তাপসকিরণ রায় স্মৃতি চারণ বেশ ভাল লাগল--লেখিকার উদার উদাস মনের সৌন্দর্য ধরা পড়ল।ধন্যবাদ।
আপনার অকৃত্রিম প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।
ওয়াহিদ মামুন লাভলু দূর থেকে পৃথিবীকে দেখে যে অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে তার সঙ্গে আমিও একাত্মতা অনুভব করেছি, যা আমাকে আজও নাড়া দেয় । সুন্দর স্মৃতিচারণমূলক গল্প। খুব ভাল লাগল। শ্রদ্ধা জানবেন।
ধন্যবাদ। ধন্যবাদ।
আলমগীর সরকার লিটন লেখনির মাঝে নতুনত্ব ছুঁয়া ভাল লাগল
ব্যস্ততার জন্য ভুল সংশোধনের সুযোগ পাইনি। তারপরেও প্রশংসা!আপনাদের উদারতার জন্য ধন্যবাদ।

০৩ ফেব্রুয়ারী - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ১৪ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪